বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত

ঢাকা ইউনিভার্সিটি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের বার্ষিক সাধারণ সভা ২০১৮ গত ১০ মার্চ শনিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়। অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এ. কে. আজাদের সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের প্রধান পৃষ্ঠপোষক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান। ঢাবি উপাচার্য বলেন, অ্যালামনাইরা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবিচ্ছেদ্য অংশ, প্রাণশক্তি। সারা পৃথিবীতে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর এগিয়ে যাওয়ার সারথি হন তারা। ঢাকা ইউনিভার্সিটি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন সে দায়িত্বটি পালনে সচেষ্ট হয়েছে। বর্তমান কমিটি শুরু থেকে কর্মচঞ্চল হয়ে ভূমিকা পালন করছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও অ্যালামনাইকে সমষ্টিগতভাবে এগিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন তিনি।

সভাপতির বক্তব্যে এ. কে. আজাদ বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় তার গ্র্যাজুয়েটদের সম্মানিত করেছে। একজন অ্যালামনাই হিসেবে নতুন প্রজন্মকে সে সম্মান ফিরিয়ে দিতে হবে।

অ্যাসোসিয়েশনের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা তুলে ধরে তিনি বলেন, টিএসসি ও কার্জন হল দেশের অন্যতম ঐতিহ্য। গুলোর ঐতিহ্যিক মূল কাঠামো অক্ষুন্ন রেখে প্রয়োজনীয় সক্ষমতা বাড়ানো হবে। এছাড়া অন্যান্য উদ্যোগের প্রত্যেক সদস্যকে পরামর্শ দিয়ে সহযোগিতার আহ্বান জানান।

বক্তারা বলেন, ঢাকা ইউনিভার্সিটি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন বর্তমান শিক্ষার্থীদের মাধ্যমে সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ, মাদক ও বাল্যবিবাহের বিরুদ্ধে যে সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তোলার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে তা আজকে সকলের কাছে উদাহরণ হয়ে থাকবে। সেই কাজটিই ঢাকা ইউনিভার্সিটি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন করে যাবে বলে আমরা আশা করি।

সভায় বার্ষিক প্রতিবেদন ২০১৭-১৮ উপস্থাপন করেন অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব রঞ্জন কর্মকার। শুরুতে প্রয়াত সদস্য ও বিশিষ্টজনের জন্য শোক প্রস্তাব পাঠ করেন অ্যাসোসিয়েশনের সহসভাপতি মুনিরা খান। স্বাগত বক্তব্য দেন সিনিয়র সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট মোল্লা মোহাম্মদ আবু কাওছার। সাংগঠনিক প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন আফজালুর রহমান বাবু। বার্ষিক আর্থিক প্রতিবেদন তুলে ধরেন কোষাধ্যক্ষ দেওয়ান রাশিদুল হাসান। বার্ষিক কার্যবিবরণী ও আয়-ব্যয়ের প্রতিবেদনের ওপর সদস্যদের আলোচনা শেষে সর্বসম্মতিক্রমে তা পাস হয়। অ্যাসোসিয়েশনের যুগ্ম মহাসচিব আশরাফুল হক মুকুলের সঞ্চালনায় সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন সংগঠনের অর্থ কমিটির আহ্বায়ক আনোয়ার-উল-আলম চৌধুরী পারভেজ। মুক্ত আলোচনায় সদস্যরা বিশ্ববিদ্যালয়কে এগিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে তাদের সুচিন্তিত অভিমত তুলে ধরেন। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন কার্যনির্বাহী সদস্য সেলিনা খালেক। সন্ধ্যায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও নৈশভোজের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটে।