স্মরণে শপথে ১৫ আগস্ট শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৩ তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে ঢাকা ইউনিভার্সিটি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের উদ্যোগে গত ১৭ আগস্ট বিকেল ৪ টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনের অ্যালামনাই ফ্লোরে ‘স্মরণে শপথে ১৫ আগস্ট’ শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নুরুল ইসলাম নাহিদ এম.পি মাননীয় মন্ত্রী, শিক্ষা মন্ত্রণালয়, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার। বিশেষ অতিথি ছিলেন অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ, প্রো- উপাচার্য, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং অধ্যাপক ড. এ. এস. এম. মাকসুদ কামাল, সভাপতি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সিনিয়র সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট মোল্লা মোহাম্মদ আবু কাওছার এবং কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক সুভাষ চন্দ্র সিংহ রায়। সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি জনাব এ. কে. আজাদ। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব রঞ্জন কর্মকার।

শিক্ষামন্ত্রী জনাব নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন- বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ধারণ করে দেশের স্বার্থে কাজ করতে হবে। বাংলার মানুষের মুক্তিই ছিলো জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর জীবনের মূল লক্ষ্য ও আদর্শ। তাঁর স্বপ্নের সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠা করতে পারলে তাঁর প্রতি প্রকৃত শ্রদ্ধা নিবেদন করা হবে। তিনি বলেন আমাদের জাতির ইতিহাসের সবচেয়ে গৌরবোজ্জ্বল অধ্যায় হচ্ছে আমাদের মহা নায়ক হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। বঙ্গবন্ধু চিরকাল বাঙ্গালী জাতির মাঝে বেঁচে থাকবেন। তিনি বলেন- জাতির জনকের আদর্শ নতুন প্রজন্মের মাঝে ছড়িয়ে দিতে হবে।

প্রো-উপাচার্য ড. মুহাম্মদ সামাদ বলেন- বঙ্গবন্ধু ক্ষুধা দারিদ্রমুক্ত, নিপীড়ন-শোষণমুক্ত সোনার বাংলা গড়তে চেয়েছিলেন। কিন্তু যারা তার আদর্শের শত্রু ছিলো তারা পঁচাত্তরের ১৫ই আগস্ট তাকে স্ব-পরিবারে হত্যা করে। মুক্তিযুদ্ধের পরাজিত শক্তি পরিকল্পিতভাবে তাকে হত্যা করে। এটা ছিলো ইতিহাসের জঘন্যতম হত্যাকা-।

জনাব মাকসুদ কামাল বলেন- ৭৫’ এর ঘাতকেরা বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে হত্যা করতে চেয়েছিলো। কিন্তু তারা সফল হয়নি। বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ সামনে এগিয়ে যাচ্ছে। অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সিনিয়র সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট মোল্লা মো. আবু কাওছার বলেন- বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ একই সূত্রে গাঁথা। বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশকে আলাদা করে দেখার কিছু নেই। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নই ছিলো বাঙ্গালীকে একটি স্বাধীন ভূ-খ- দেওয়া। অ্যাসোসিয়েশনের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য জনাব সুভাষ চন্দ্র সিংহ রায় বলেন- ১৫ই আগস্টের হত্যাকা-টি ছিলো একটি রাজনৈতিক হত্যাকা-। এই হত্যাকা-ের মাধ্যমে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান লাভবান হন এবং এই হত্যাকা-ের সাথে তিনি জড়িত ছিলেন।

ঢাকা ইউনিভার্সিটি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি জনাব এ. কে. আজাদ বলেন আমাদেরকে সঠিক ইতিহাস জানতে হবে। বঙ্গবন্ধুকে জানতে হবে। বঙ্গবন্ধু তরুণ বয়সেই নেতৃত্বের গুণাবলি অর্জন করেছিলেন। তাঁর সাহস ছিলো অসীম; দেশপ্রেম ছিলো অত্যন্ত প্রবল। তিনি সারাজীবন মানুষের জন্য সংগ্রাম করেছেন। মানুষের অধিকার আদায়ের জন্য লড়েছেন। বাঙ্গালী জাতির সার্বিক মুক্তির জন্য বঙ্গবন্ধু সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করেছিলেন। জীবনের বেশীল ভাগ সময়েই তিনি ছিলেন কারাগারে। তিনি বঙ্গবন্ধুর সম্পর্কে জানতে তার অসমাপ্ত আতœজীবনী ও কারাগারের রোজনামচা বই দুটি পড়ার জন্য সবার প্রতি অনুরোধ জানান।